বৃষ্টি উপেক্ষা করে গান, কবিতা এবং বক্তব্যের মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী কফিন নিয়ে তারা এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এই সমাবেশে অন্যান্য কয়েকটি সংগঠনও উদীচীর সঙ্গে যোগ দেয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা এবং সময়ক্ষেপণ আন্দোলনকে উত্তেজিত করে। ছাত্র হত্যার মাধ্যমে সরকার এই আন্দোলনকে সাধারণ মানুষের আন্দোলনে রূপ দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমাতে অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগের ঘটনা কখনোই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য কাম্য নয়। তারা বলেন, ছাত্র হত্যার দায় সরকারকে নিতে হবে।
উদীচীর নেতারা দাবি করেন, ছাত্র হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সকলকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। কোটা আন্দোলনে লাখ লাখ ছাত্রকে রাজাকার বলে যে কটূক্তি করা হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং ছাত্র হত্যার জন্য সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই বলে মত দেন উদীচীর নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, "কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারের। সরকারপ্রধান হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডের দায় কাঁধে নিয়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।"
সমাবেশের শুরুতে কোটা আন্দোলনের সময় সংঘাতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রাণহানির ঘটনার প্রতীক হিসেবে সমাবেশের সামনে প্রতীকী কফিন রাখা ছিল। উদীচীর এই প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও দাবিগুলি তুলে ধরা হয়।